বলিরেখা: আয়ুর্বেদে কারণ ও চিকিৎসা!
বলিরেখা এবং আয়ুর্বেদিক প্রতিকার
বলিরেখার পরিচয়:
- বার্ধক্যের প্রাকৃতিক লক্ষণ।
- সাধারণত মুখ, ঘাড়, হাত এবং বাহুগুলির মতো সূর্যের সংস্পর্শে থাকা জায়গাগুলিতে দেখা যায়।
- ত্বক পাতলা, শুষ্ক এবং কম স্থিতিস্থাপক হয়ে ওঠে।
আয়ুর্বেদে বলিরেখা:
- আয়ুর্বেদে বলিকে "ভালি" বলা হয়।
- এটি বার্ধক্যের প্রধান লক্ষণ।
- চামড়া সঙ্কুচিত (সামকোচা) হিসাবে চিহ্নিত।
বলিরেখা গঠনের কারণ:
- "রস ধাতু" (রক্তরস)।
- "মামসা ধাতু" (পেশী)।
- "বাত দোষ"।
- ব্যক্তির প্রকৃতি (সংবিধান)।
- টিস্যুর অবস্থা (ধাতু)।
- খাদ্যাভ্যাস।
- ধূলিকণা এবং অতিবেগুনী রশ্মির সংস্পর্শে আসা।
- ধূমপান।
প্রাথমিক পর্যায়ে বলিরেখা এড়াতে:
- নাস্য (নাকে তেল প্রয়োগ)।
- অভ্যাঙ্গ (তেল মালিশ)।
আয়ুর্বেদিক প্রতিকার:
- স্নেহা (তেল): ত্বক মসৃণ ও নমনীয় রাখতে সাহায্য করে।
- অবলেহা (ওষুধযুক্ত ঘি): ব্রণ প্রতিরোধ এবং চিকিত্সা উভয় ক্ষেত্রেই কার্যকর।
অন্যান্য প্রতিকার:
- ত্বককে আর্দ্র রাখতে পর্যাপ্ত জল পান করা।
- পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা।
- সূর্য রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা করা।
- ধূমপান ত্যাগ করা।
Source:- 1. KULKARNI, SACHIN & JAIN, SIDDHARTH. (2022). CONCEPT OF WRINKLES IN AYURVEDA WITH SPECIAL REFERENCE TO AGEING. INDIAN JOURNAL OF APPLIED RESEARCH. 10. 60-62.
Source:- 2. Datta, H. S., & Paramesh, R. (2010). Trends in aging and skin care: Ayurvedic concepts. Journal of Ayurveda and integrative medicine, 1(2), 110–113. https://doi.org/10.4103/0975-9476.65081
দাবিত্যাগ:
এই তথ্য চিকিৎসা পরামর্শ জন্য একটি বিকল্প নয়. আপনার চিকিৎসায় কোনো পরিবর্তন করার আগে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করুন। মেডউইকিতে আপনি যা দেখেছেন বা পড়েছেন তার উপর ভিত্তি করে পেশাদার চিকিৎসা পরামর্শকে উপেক্ষা করবেন না বা বিলম্ব করবেন না।
এ আমাদের খুঁজুন: