অ্যাসপিরিন + ডিপাইরিডামোল
Find more information about this combination medication at the webpages for অ্যাসপিরিন and ডিপাইরিডামোল
রুমাটয়েড আর্থরাইটিস, ব্যথা ... show more
.svg)
Advisory
- This medicine contains a combination of 2 active drug ingredients অ্যাসপিরিন and ডিপাইরিডামোল.
- Both drugs treat the same disease or symptom and work in similar ways.
- Taking two drugs that work in the same way usually has no advantage over one of the drugs at the right dose.
- Most doctors do not prescribe multiple drugs that work in the same ways.
ওশুধের অবস্থা
সরকারি অনুমোদন
None
ডব্লিউএইচও প্রয়োজনীয় ওষুধ
NO
জানা টেরাটোজেন
NO
ফার্মাসিউটিকাল শ্রেণী
and
নিয়ন্ত্রিত ওষুধ পদার্থ
NO
সংক্ষিপ্ত
অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোল ট্রানজিয়েন্ট ইস্কেমিক অ্যাটাক বা ইস্কেমিক স্ট্রোক হওয়া ব্যক্তিদের স্ট্রোক প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। এই অবস্থাগুলি হল যখন মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ অস্থায়ীভাবে বাধাগ্রস্ত হয়, প্রায়শই একটি ক্লট দ্বারা।
অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোল একসাথে কাজ করে প্লেটলেট একত্রিতকরণ প্রতিরোধ করে রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। প্লেটলেট হল রক্ত কোষ যা একত্রিত হয়ে ক্লট তৈরি করে। অ্যাসপিরিন একটি এনজাইম ব্লক করে, একটি অণু কমায় যা জমাট বাঁধা প্রচার করে। ডিপাইরিডামোল প্লেটলেটে একটি পদার্থের গ্রহণ প্রতিরোধ করে, তাদের কার্যকারিতা আরও বাধা দেয়।
সাধারণ প্রাপ্তবয়স্ক ডোজ হল প্রতিদিন দুইবার একটি ক্যাপসুল, একবার সকালে এবং একবার সন্ধ্যায়। প্রতিটি ক্যাপসুলে ২৫ মিগ্রা অ্যাসপিরিন এবং ২০০ মিগ্রা বর্ধিত-মুক্তি ডিপাইরিডামোল থাকে। ক্যাপসুলগুলি সম্পূর্ণ গিলে খাওয়া উচিত।
সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে মাথাব্যথা, হার্টবার্ন, পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া এবং পেশী ও জয়েন্টের ব্যথা অন্তর্ভুক্ত। আরও গুরুতর প্রভাবগুলির মধ্যে রক্তপাত, গুরুতর ফুসকুড়ি, ঠোঁট, জিহ্বা বা মুখের ফোলা, শ্বাসকষ্ট এবং বুকের ব্যথা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোল রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায়, বিশেষ করে যারা অন্যান্য রক্ত পাতলা ওষুধ গ্রহণ করছেন বা রক্তপাতের ব্যাধি রয়েছে তাদের মধ্যে। NSAIDs, অ্যাসপিরিন বা ডিপাইরিডামোলের প্রতি অ্যালার্জি থাকা ব্যক্তিদের দ্বারা এগুলি ব্যবহার করা উচিত নয় এবং যারা হাঁপানি, রাইনাইটিস এবং নাকের পলিপ রয়েছে তাদেরও নয়। গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে, বিশেষ করে ২০ সপ্তাহের পরে, এবং গুরুতর লিভার বা কিডনি অকার্যকারিতা সহ রোগীদের মধ্যে এগুলি সাবধানতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।
ইঙ্গিত এবং উদ্দেশ্য
অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোলের সংমিশ্রণ কীভাবে কাজ করে?
অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোল একসাথে কাজ করে রক্তের জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করতে প্লেটলেট একত্রিতকরণকে বাধা দেয়। অ্যাসপিরিন এটি অর্জন করে সাইক্লোঅক্সিজেনেজ এনজাইমকে অপরিবর্তনীয়ভাবে বাধা দিয়ে, যা থ্রম্বোক্সেন A2 এর উৎপাদন কমায়, একটি অণু যা প্লেটলেট একত্রিতকরণকে প্রচার করে। ডিপাইরিডামোল এই ক্রিয়াকে সম্পূরক করে অ্যাডেনোসিনের প্লেটলেটে গ্রহণকে বাধা দিয়ে, যা সাইক্লিক AMP এর স্তর বৃদ্ধি করে, যা আরও প্লেটলেট কার্যকারিতা বাধা দেয়। এই দ্বৈত প্রক্রিয়া স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানোর জন্য একটি ব্যাপক পদ্ধতি প্রদান করে।
অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোলের সংমিশ্রণ কতটা কার্যকরী
ইউরোপীয় স্ট্রোক প্রতিরোধ গবেষণা-2 (ESPS2) এর মতো ক্লিনিকাল ট্রায়ালে অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোলের স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানোর কার্যকারিতা প্রদর্শিত হয়েছে। এই গবেষণায় দেখা গেছে যে সংমিশ্রণটি প্লাসেবোর তুলনায় স্ট্রোকের ঝুঁকি 36.8% এবং শুধুমাত্র অ্যাসপিরিনের তুলনায় 22.1% কমিয়েছে। অ্যাসপিরিন তাৎক্ষণিক অ্যান্টিপ্লেটলেট প্রভাব প্রদান করে, যখন ডিপাইরিডামোল তার বর্ধিত-মুক্তির সূত্রের মাধ্যমে স্থায়ী ক্রিয়া প্রদান করে, একসাথে স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্য একটি ব্যাপক পদ্ধতি প্রদান করে।
ব্যবহারের নির্দেশাবলী
অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোলের সংমিশ্রণের সাধারণ ডোজ কী?
অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোলের সংমিশ্রণের জন্য সাধারণ প্রাপ্তবয়স্ক দৈনিক ডোজ হল প্রতিদিন দুইবার একটি ক্যাপসুল গ্রহণ করা, একবার সকালে এবং একবার সন্ধ্যায়। প্রতিটি ক্যাপসুলে ২৫ মি.গ্রা. অ্যাসপিরিন এবং ২০০ মি.গ্রা. বর্ধিত-মুক্তি ডিপাইরিডামোল থাকে। এই ডোজিং রেজিমেন নিশ্চিত করে যে উভয় ওষুধের অ্যান্টিপ্লেটলেট প্রভাব সারা দিন বজায় থাকে, যেখানে অ্যাসপিরিন তাৎক্ষণিক প্লেটলেট ইনহিবিশন প্রদান করে এবং ডিপাইরিডামোল তার বর্ধিত-মুক্তি ফর্মুলেশনের কারণে দীর্ঘস্থায়ী ক্রিয়া প্রদান করে।
কিভাবে অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোলের সংমিশ্রণ গ্রহণ করা হয়?
অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোল ক্যাপসুল প্রতিদিন দুইবার, একবার সকালে এবং একবার সন্ধ্যায় গ্রহণ করা উচিত এবং খাবারের সাথে বা ছাড়া নেওয়া যেতে পারে। ক্যাপসুলগুলি সম্পূর্ণ গিলে ফেলা উচিত এবং চূর্ণ বা চিবানো উচিত নয়। নির্দিষ্ট কোনো খাদ্য নিষেধাজ্ঞা নেই, তবে রোগীদের অ্যালকোহল সেবনে সতর্ক থাকা উচিত, কারণ এটি রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। নির্ধারিত নিয়ম মেনে চলা এবং কোনো উদ্বেগ থাকলে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোলের সংমিশ্রণ কতদিন নেওয়া হয়?
অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোল সাধারণত দীর্ঘমেয়াদীভাবে ব্যবহৃত হয় ট্রানজিয়েন্ট ইস্কেমিক অ্যাটাক বা ইস্কেমিক স্ট্রোকের ইতিহাস থাকা রোগীদের স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানোর জন্য। ব্যবহারের সময়কাল সাধারণত অনির্দিষ্ট, যতক্ষণ না রোগী স্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকে এবং ওষুধ সহ্য করতে পারে। চিকিৎসা প্রদানকারীর সাথে নিয়মিত ফলো-আপ প্রয়োজনীয় চিকিৎসার কার্যকারিতা এবং সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে।
অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোলের সংমিশ্রণ কাজ করতে কতক্ষণ সময় নেয়?
অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোল একসাথে কাজ করে রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করতে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে। অ্যাসপিরিন দ্রুত প্লেটলেট একত্রিতকরণকে বাধা দেয়, যা গ্রহণের ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে প্রভাব শুরু করে। অন্যদিকে, ডিপাইরিডামোলের ধীরগতির শুরু হয় কারণ এটি একটি বর্ধিত-মুক্তির ফর্মুলেশন, যা প্রায় ২ ঘণ্টা পরে শীর্ষ প্লাজমা স্তরে পৌঁছায়। এই দুটি ওষুধের সংমিশ্রণ স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে একটি ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতি প্রদান করে, যেখানে অ্যাসপিরিন তাৎক্ষণিক ক্রিয়া প্রদান করে এবং ডিপাইরিডামোল দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব প্রদান করে।
সতর্কতা এবং সাবধানতা
অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোলের সংমিশ্রণ গ্রহণের ফলে কি কোনো ক্ষতি এবং ঝুঁকি রয়েছে
অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোলের সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে মাথাব্যথা, হার্টবার্ন, পেটের ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া এবং পেশী ও জয়েন্টের ব্যথা অন্তর্ভুক্ত। উল্লেখযোগ্য প্রতিকূল প্রভাবগুলির মধ্যে রক্তপাত, গুরুতর ফুসকুড়ি, ঠোঁট, জিহ্বা বা মুখের ফোলাভাব, শ্বাসকষ্ট এবং বুকে ব্যথা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। রোগীদের এই সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত এবং যদি তারা কোনো গুরুতর বা স্থায়ী উপসর্গ অনুভব করে তবে তাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
আমি কি অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোলের সংমিশ্রণ অন্যান্য প্রেসক্রিপশন ওষুধের সাথে নিতে পারি?
অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোল বেশ কয়েকটি প্রেসক্রিপশন ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া করতে পারে, রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে ওয়ারফারিন এবং হেপারিনের মতো অ্যান্টিকোয়াগুলান্ট, অন্যান্য অ্যান্টিপ্লেটলেট এজেন্ট এবং এনএসএআইডি। এছাড়াও, অ্যাসপিরিন এএসই ইনহিবিটর এবং বিটা-ব্লকারের কার্যকারিতা প্রভাবিত করতে পারে, যখন ডিপাইরিডামোল স্ট্রেস টেস্টিংয়ে ব্যবহৃত অ্যাডেনোসিনার্জিক এজেন্টের সাথে প্রতিক্রিয়া করতে পারে। রোগীদের সম্ভাব্য মিথস্ক্রিয়া এড়াতে তারা যে সমস্ত ওষুধ গ্রহণ করছে তা তাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীকে জানানো উচিত।
আমি যদি গর্ভবতী হই তবে কি আমি অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোলের সংমিশ্রণ নিতে পারি
গর্ভাবস্থায়, বিশেষ করে ২০ সপ্তাহের পরে, অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোল সাবধানতার সাথে ব্যবহার করা উচিত, কারণ এটি ভ্রূণের ক্ষতি এবং প্রসবের সময় জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। অ্যাসপিরিন, একটি এনএসএআইডি, মায়ের এবং ভ্রূণের মধ্যে দীর্ঘায়িত প্রসব এবং রক্তপাতের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। গর্ভাবস্থায় ডিপাইরিডামোলের প্রভাব সম্পর্কে সীমিত তথ্য রয়েছে, তবে সাধারণত পরামর্শ দেওয়া হয় যে সম্ভাব্য সুবিধাগুলি ঝুঁকিগুলিকে ন্যায্যতা দেয় শুধুমাত্র তখনই এই সংমিশ্রণটি ব্যবহার করা উচিত। গর্ভবতী মহিলাদের এই ওষুধটি ব্যবহার করার আগে তাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করা উচিত।
বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় কি আমি অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোলের সংমিশ্রণ নিতে পারি
দুগ্ধদানকালে অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোল স্তন্যদুগ্ধে প্রবেশ করতে পারে। অ্যাসপিরিনের একটি বিপাকীয় পদার্থ স্যালিসিলিক অ্যাসিড স্তন্যদুগ্ধে নিম্ন স্তরে সনাক্ত করা হয়েছে, তবে স্তন্যপানকারী শিশুর উপর এর প্রভাব ভালভাবে নথিভুক্ত নয়। ডিপাইরিডামোলও স্তন্যদুগ্ধে উপস্থিত থাকে, তবে শিশুর উপর এর প্রভাব অস্পষ্ট। স্তন্যদানকারী মায়েদের তাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে ঝুঁকি এবং সুবিধাগুলি নিয়ে আলোচনা করা উচিত যাতে সেরা পদক্ষেপ নির্ধারণ করা যায়।
কারা অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোলের সংমিশ্রণ গ্রহণ এড়িয়ে চলা উচিত?
অ্যাসপিরিন এবং ডিপাইরিডামোলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতাগুলির মধ্যে রক্তপাতের ঝুঁকি অন্তর্ভুক্ত, বিশেষ করে যারা অন্যান্য অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট গ্রহণ করছেন বা রক্তপাতের ব্যাধির ইতিহাস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে। এটি NSAIDs, অ্যাসপিরিন, বা ডিপাইরিডামোলের প্রতি পরিচিত অ্যালার্জি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের জন্য এবং যারা হাঁপানি, রাইনাইটিস এবং নাকের পলিপ রয়েছে তাদের জন্য নিষিদ্ধ। গুরুতর লিভার বা কিডনি অকার্যকারিতা রয়েছে এমন রোগীদের এই ওষুধটি এড়িয়ে চলা উচিত। গর্ভবতী মহিলারা, বিশেষ করে ২০ সপ্তাহের পরে, এটি শুধুমাত্র স্পষ্ট প্রয়োজন হলে এবং চিকিৎসা তত্ত্বাবধানে ব্যবহার করা উচিত।
